মাশরাফিঃ একজন হার না মানা যোদ্ধা

 

মাশরাফি মাশরাফি
তুমি কোটি প্রাণের আশা
মাশরাফি মাশরাফি
তুমি লাল সবুজের ভালবাসা!

এই গানটি মাশরাফির প্রতি ভালবাসারই বহিঃপ্রকাশ।
এই মহান কিংবদন্তির জন্ম ১৯৮৩ সালের ২৩ অক্টোবর নড়াইলে। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর লেখাপড়ার চায় খেলাধুলার প্রতি বেশি আকর্ষণ ছিল। তারুণ্যের শুরুতে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আকর্ষণ জন্মে। প্রথমদিকে ব্যাটিংএর প্রতি ঝোঁক থাকলেও সুনাম অর্জন করেন বোলিং এ।তিনি খুবই বাইকপ্রেমী।উদারতার দিক দিয়ে সকলের কাছে পরিচিত তিনি। এজন্যে এলাকায় সকলের কাছে পরিচিত তিনি “প্রিন্স অব হার্টস” নামে!
সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় সুমনা হক সুমির সাথে তার পরিচয় হয়।এরপর ২০০৬ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

Read This: Riley Reid Biography

মাশরাফিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সফল তম একজন বোলার। আক্রমণাত্বক ও গতিময় বোলিং দিয়ে অনুর্ধ ১৯ দলে থাকতেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সাবেক ফার্স্ট বোলার আ্যান্ডি রবার্টস এর নজর কেড়েছিলেন।তিনি তখন দলের অস্থায়ী বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। রবার্টস এর পরামর্শেই মাশরাফিকে বাংলাদেশের এ দলে নেয়া হয়। বাংলাদেশ এ দলের হয়ে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান।

৮ নভেম্বর ২০০১ এ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক ঘটে। একই ম্যাচে খালেদ মাহমুদেরও অভিষেক ঘটে।বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।তবে খেলায় তিনি তাঁর যোগ্যতার পরিচয় দেন।সে খেলায় ১০৬ রানে ৪ উইকেট নেন।গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ছিলেন তাঁর প্রথম শিকার। মজার ব্যাপার হলো এটি ছিল তাঁর প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ।তিনি এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী ৩১ তম খেলোয়াড় এবং ১৮৯৯ সালের পর তৃতীয়। একই বছর ২৩ শে নভেম্বর ওয়ান ডে ম্যাচে তাঁর অভিষেক হয় ফাহিম মুনতাসীর ও তুষার ইমরানের সাথে। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সাথে বোলিং ওপেন করে ৮.২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ টি উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ৩য় টেস্ট খেলতে গিয়ে তিনি ইনজুরিতে পড়েন।যে কারণে তাই ২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়।

Check This: Riley Reid Biography

এরপর আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলায় তিনি সফলতা পান।৬০রানে ৪ উইকেট নেয়ার পর তিনি আবার হাঁটুর ইনজুরিতে পরেন। এবার তাঁকে প্রায় ১ বছর খেলার বাইরে থাকতে হয়।
২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিড়কে অফ স্টাম্পের বাইরে একটি বলে আউট করে তিনি স্বরূপে ফেরার ঘোষণা দেন।সেই খেলায় টেন্ডুলকার ও গাঙুলি কে আউট করার সুযোগ তৈরী করেন,কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তা হাতছাড়া হয়।

২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তিনি ভাল খেলেন,সেসময় সকল খেলোয়াড়দের চেয়ে তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ইর্ষনীয়।কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি মারকুটপ ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট কে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান!

সাধারণ ভাবে আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটে পেসারের ঘাটতি ছিল।মাশরাফি সেই অভাব দূর করেন।
২০০৬ পঞ্জিকা বর্ষে মাশরাফি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট শিকারী।২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

ব্যাটসম্যান হিসেবেও তাঁর ভূমিকা একেবারে মন্দ নয়,অনেক খেলাতেই তাঁর মারকুটে ব্যটিং সকলকে দিয়েছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। শেষে নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফিকে বলতে হয় একজন সেরা অধিনায়ক “দ্যা বস!”

তুমি প্রিয়ো তুমি সেরা
তুমি আগামীর প্রত্যাশা!

Also Check: 

1. What is the Substation?
2. TOP 100 SCHOOLS IN BANGLADESH IN 2022
3. Microsoft Excel Basic Functions 
4. CPA Marketing
5. How to Fix Account warning on TikTok?
6. 20 Best All-Inclusive, Adult-Only Resorts in the World
7. 7 Top Economics Magazines, Publications & Journals in 2022

Check Us on Social Media: Facebook, Twitter, Instagram, Pinterest, Linkedin